1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

আইসিটি খাতে সম্ভাবনার সঞ্চারণে হাত মেলালো হুয়াওয়ে-বুয়েট

  • Update Time : শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২৬৭ Time View

বাংলাদেশের তরুণ আইসিটি শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্ব পেশাবাজারে নিজেদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জায়গা করে নিতে পারে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে এক হয়ে বিশেষ আইসিটি একাডেমি পরিচালনা করতে চায় হুয়াওয়ে।

সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রথম আইসিটি একাডেমি স্থাপন করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে ও বুয়েট। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই উদ্দেশ্যে দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। হুয়াওয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুয়েট কাউন্সিল ভবনে অনুষ্ঠিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট লিনঝিজুন এবং বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিওও তাও গুয়াংইয়াও। আরো উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও বুয়েটের শিক্ষকবৃন্দ।

চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে বুয়েট একাডেমিক ভবনে তৈরি হবে এই বিশেষ ট্রেনিং সেন্টার যেখানে কারিগরি প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ নিশ্চিত করা হবে। এর সঙ্গে থাকবে কানেক্টিভিটি, যার মাধ্যমে সারাবিশ্বের ১ হাজার ২০০ এরও বেশি প্রশিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ পাবেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ১৯টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ওপর ৮৩টি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম থাকবে এখানে। আর এই কোর্স এবং সার্টিফিকেশন সমন্বয় করবে হুয়াওয়ে অথরাইজড ইনফরমেশন এণ্ড নেটওয়ার্ক একাডেমি (এইচএআইএনএ) যা মূলত এই হুয়াওয়ে-বুয়েট আইসিটি একাডেমি।

এই আইসিটি একাডেমি থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের কৃতিত্বের ওপর ভিত্তি করে তিন ধরনের গ্রেড যেমন অ্যাসোসিয়েট, প্রফেশনাল ও এক্সপার্ট সার্টিফিকেট পাবেন। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য নিজেদের উপযুক্ত করে তৈরি করতে পারবেন এবং সবশেষে তাদের জন্য জব ফেয়ারেরও আয়োজন করা হবে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘যেকোনো দেশের অগ্রগতির জন্য শিক্ষা, বিশেষ করে আইসিটি শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেশি। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা অনেকদিন থেকেই বিশ্বে আমাদের নাম উজ্জ্বল করে চলেছেন। কিন্তু এখনও অনেক দূর যেতে হবে আমাদের। এই যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ে এবং বুয়েট যে পদক্ষেপ নিতে চলেছে তা অনেক আশাব্যাঞ্জক। আমাদের সামনে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন রয়েছে, তা পূরণ করতে বুয়েটের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দিনগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। আর আমার খুব ভালো লাগবে যখন আমাদের ছেলেমেয়েরা শুধু আমাদের দেশের জন্য নয় বরং সারা পৃথিবীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’

বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ে একটি বিশ্বস্ত নাম। তাই, আইসিটি একাডেমি তৈরির উদ্যোগ এবং এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। ইতোপূর্বে আমরা জিএসএম ল্যাব প্রতিষ্ঠাকালে হুয়াওয়ের কাছ থেকে যে আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছিলাম, তা আমাদের শিক্ষার্থীদরে সুশিক্ষার জন্য বেশ ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করেছিল। আসন্ন ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমির মতো একটি প্রতিষ্ঠান নিঃসন্দেহে আমাদেরকে বিপুল চালিকাশক্তি জোগাবে। বিগত দশকগুলোতে পাঠদানের ক্ষেত্রে বুয়েট যে গুণগত মান ধরে রেখেছে তার সঙ্গে এই উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিওও তাও গুয়াংইয়াও বলেন, ‘তরুণদের কর্মদক্ষতার উন্নয়ন না ঘটলে একটি দেশ উপকৃত হতে পারে না। উন্মুক্ত বৈশ্বিক শিক্ষার সুযোগ শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক প্রয়োজন। এই সুযোগ তাদের চিন্তাশক্তিকে বাড়িয়ে তোলে অনেক গুণ। আইসিটি ক্ষেত্র যখন প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন আবিষ্কার নিয়ে আবির্ভাব হচ্ছে, তখন এর সঙ্গে আরও এক হয়ে সমাজের জন্য নতুন উপযোগিতা তৈরি করতে হবে। গত ২২ বছর ধরে আমরা বাংলাদেশের আইসিটি ক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা চাই এদেশের ছেলেমেয়েরা আরও বেশি দক্ষতা অর্জন করুক এবং আমরা এক সঙ্গে এক হয়ে দেশের জন্য কাজ করি। তাই মূলত আমাদের এই হুয়াওয়ে-বুয়েট আইসিটি একাডেমি স্থাপন করা।’

অলাভজনক শিক্ষা প্রোগ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এই একাডেমিটি দু’টি বিষয়কে সামনে রেখে কাজ করবে। এর মধ্যে একটি হলো আইসিটি খাতের চাহিদা পূরণে ট্রেনিং ও লার্নিং সল্যুশন প্রদান করা; অন্যটি হলো আইসিটি খাতের জন্য একটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরি করা।

সারাবিশ্বে এরকম ৯০০টিরও বেশি আই সিটি একাডেমি স্তাপনের পরিকল্পনা রয়েছে হুয়াওয়ের এবং প্রতিবছর এই একাডেমিগুলো থেকে ৪৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী বের হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বুয়েট থেকে ২৫০ জন শিক্ষার্থী এই ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করবে। এই পর্যন্ত পাকিস্তান, জাম্বিয়া ও চীনসহ আরও বেশ কিছু দেশে এই একাডেমি কার্যক্রম শুরু করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..